অনগ্রসর ব্যক্তির বিশেষ ভাতা :
বিভিন্ন অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ । সমাজসেবা অধিদফতরের জরিপমতে বাংলাদেশে প্রায় ১৩,২৯,১৩৫ জন অনগ্রসর জনগোষ্ঠী । জেলে, সন্যাসী, ঋষি, বেহারা, নাপিত, ধোপা, হাজাম, নিকারী, পাটনী, কাওড়া, তেলী,পাটিকর , বাঁশফোর, ডোমার, রাউত, তেলেগু, হেলা, হাড়ি, লালবেগী, বাল্মিগী, ডোম ইত্যাদি তথাকথিত নিম্নবর্ণের জনগোষ্ঠী এ অনগ্রসর সম্প্রদায়ভুক্ত।
২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে পাইলট কর্মসূচির মাধ্যমে ৭টি জেলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়। পাইলট কার্যক্রমভুক্ত ৭টি জেলা হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, নওগাঁ, যশোর ,বগুড়া এবং হবিগঞ্জ । ২০১৩-১৪ অর্থবছর হতে শেরপুর জেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর হতে ৬৪ জেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়ে আসছে । বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে একই কর্মসূচীর আওতায় সুবিধা প্রদান করা হতো কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছর হতে এই দুই জনগোষ্ঠীকে আলাদা আলাদা কর্মসূচীর নামে সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। একটি হলো বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচী, অপরটি অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচী।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গিকার হিসেবে শেরপুর জেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বিশেষ এ ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৯৮ জনে উন্নীত করা হয় এবং জনপ্রতি মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিবিড় তদারকি এবং সমাজসেবা অধিদফতরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে বিশেষ এ ভাতা বিতরণে শতভাগ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
বর্তমান সরকারের সময় অনগ্রসর ব্যক্তির বিশেষ ভাতা কার্যক্রমে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা হল, বিদ্যমান বাস্তবায়ন নীতিমালা সংশোধন করে যুগোপযোগীকরণ, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ। এছাড়া ১০ টাকার বিনিময়ে সকল ভাতাভোগীর নিজ নামে ব্যাংক হিসাব খুলে ভাতার অর্থ পরিশোধ করা।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
১। ৫০ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের অক্ষম ও অসচ্ছল ব্যক্তিকে বিশেষ ভাতা (জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে) প্রদান।
২। বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের সমাজের মূলস্রোতধারায় আনয়ন ;
৩। প্রশিক্ষণোত্তর পুর্নবাসন সহায়তা ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা।
কার্যক্রম শুরুর বছর :
২০১৩-১৪ অর্থবছর।
সেবা প্রাপ্তির স্থান/অফিসের নাম:
উপজেলা/শহর সমাজসেবা অফিস
দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা / কর্মচারী:
উপজেলা / শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা
সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে):
বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে উপজেলা / শহর সমাজসেবা অফিসার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন। অত:পর নির্ধারিত ফরমে নির্ধারিত জনগোষ্ঠীর আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে সমাজসেবা অফিসার বরাবর আবেদন করতে হয় । প্রাপ্ত আবেদন ইউনিয়ন কমিটি কর্তৃক সরেজমিনে যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিক তালিকা উপজেলা কমিটিতে প্রেরণ করা হয়। অত:পর উপজেলা কমিটি যাচাই বাছাই করে বরাদ্দ অনুসারে উপকারভোগী নির্বাচন চূড়ান্ত করেন। নির্বাচিত ব্যক্তিদের নামে ব্যাংক হিসাব খোলা এবং কেন্দ্রীয় হিসাব হতে ভাতার টাকা ভাতাভোগীর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নির্বাচিত ব্যক্তিকে অবহিতকরণপূর্বক ভাতা বিতরণ সম্পন্ন করা হয় ।
সেবা প্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সময়:
১. নতুন বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবেদনের ০৩ মাসের মধ্যে;
২. পুরাতন বা নিয়মিতদের ক্ষেত্রে ০৭ কর্মদিবস।
প্রয়োজনীয় ফি/ট্যাক্স/আনুষঙ্গিক খরচ:
বিনামূল্যে
নির্দিষ্ট সেবা পেতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রতিকারকারী কর্মকর্তা :
১. চেয়ারম্যান/উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ (সংশ্লিষ্ট উপজেলা)
২. জেলা প্রশাসক (সংশ্লিষ্ট জেলা) বা সিটিকরপেরেশন / পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা / আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (সংশ্লিষ্ট প্রশাসন)
৩. কর্মসূচি পরিচালক
উপজেলাওয়ারী পরিসংখ্যানঃ
ক্রঃ নং |
উপজেলা/পৌরসভা |
২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত ভাতাভোগীর সংখ্যা (জন) |
মন্তব্য |
১ |
শেরপুর সদর উপজেলা |
৭৯ |
|
২ |
নকলা উপজেলা |
৫৮ |
|
৩ |
নালিতাবাড়ী উপজেলা |
২১ |
|
৪ |
ঝিনাইগাতী উপজেলা |
৪৫ |
|
৫ |
শ্রীবরদী উপজেলা |
৮৩ |
|
৬ |
শেরপুর পৌরসভা |
১২ |
|
সর্বমোট উপকারভোগী |
২৯৮ |
|
কালানুক্রমিক বৃদ্ধিঃ
অর্থ বছর |
উপকারভোগীর সংখ্যা (জন) |
জনপ্রতি মাসিক ভাতা (টাকা) |
বছরে বরাদ্দ (টাকা) |
১ |
২ |
৩ |
৪ |
২০১৫-১৬ |
১২২ |
৫০০/- |
৭,৩২,০০০/- |
২০১৬-১৭ |
১২২ |
৫০০/- |
৭,৩২,০০০/- |
২০১৭-১৮ |
১৪৬ |
৫০০/- |
৮,৭৬,০০০/- |
২০১৮-১৯ |
২২৯ |
৫০০/- |
১৩,৭৪,০০০/- |
২০১৯-২০ |
২৯৮ |
৫০০/- |
১৭,৮৮,০০০/- |
২০২০-২১ |
২৯৮ |
৫০০/- |
১৭,৮৮,০০০/- |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস